যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোভিসি নিয়োগ নিয়ে ঘুষ প্রভাবের অভিযোগ*

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) প্রোভিসি নিয়োগ প্রক্রিয়া এক মাস ধরে আটকে আছে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগের অনুমোদন দিলেও এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি।

প্রশ্নবিদ্ধ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সিদ্দিক জুবায়ের তার পছন্দের ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত বর্তমান শিক্ষা সচিবের সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাত্রা বেড়েছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বাণিজ্যের ওপেন সিক্রেট হিসেবেই পরিচিত।

ঘুষ না দেওয়ায় প্রজ্ঞাপন জারি নয়? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেন না হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে না বলে ও জানাযায় । অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম নিয়োগ না দিতে ঘুষ রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে। যদিও তিনি জামায়াতের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত, তথাপি তার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের ছোট ভাই ড. এ এফ এম ফিরোজ হাসান একসময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শিবির সভাপতি ছিলেন (১৯৮৮-৯৪)। তার পরিবারের এই অতীত সংশ্লিষ্টতাকে আওয়ামীলীগের দোসর বানিয়ে সাইফুল ইসলামের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিয়োগ আটকে দেওয়ার অন্যতম কারিগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য। তিনি ছাত্রদের মাঠে নামিয়ে অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগঠিত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বর্তমান ভিসিকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বলে বিবেচনা করা হয়।

ঘুষ বাণিজ্যের কারণে দেশের উচ্চশিক্ষার মান প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকদের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top